বঙ্গবন্ধু শিল্পা নগরে ১,৭৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে টি কে গ্রুপ

টি কে গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের দুই বোন উদ্বেগ সামুদা ফুড প্রোডাক্ট এবং সামুদা কেমিক্যাল কমপ্লেক্স ভোক্তা পণ্য ও রাসায়নিক উত্পাদন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পা নগর (বিএসএমএসএন) এ ১,74৪৪.৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

সামুদা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার বলেন, “আমরা লক্ষ্য করি নতুন পণ্য নিয়ে চাটোগ্রামের আঞ্চলিক গ্রাহকদের আকর্ষণ করা to

প্রাথমিকভাবে, 50৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে, যা আগামী তিন বছরে ১,74৪৪ কোটি টাকা বা ২০৫২.২৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্থ করবে, টি কে গ্রুপের পরিচালক হায়দারও বলেছেন।

দলটি গতকাল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সাথে বিএসএমএসএন-এর অভ্যন্তরে production০ একর জমি নতুন প্রযোজনা ইউনিট স্থাপনের জন্য লিজ নিয়ে চুক্তি করেছে।

নতুন বিনিয়োগটি অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, সয়াবিন কেক, পরিশোধিত ভোজ্য তেল, কাস্টিক সোডা, ক্লোরিনযুক্ত প্যারাফিন মোম, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, ক্লোরিন, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট এবং হাইড্রোজেন পারক্সাইড উত্পাদন করতে ব্যবহৃত হবে।

“আমরা দুটি ইউনিটে প্রায় 1,560 জন কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবো, যার নির্মাণ কাজ আশা করা যায় আগামী জানুয়ারিতে শুরু হবে।”

হায়দার বলেন, ভোক্তা পণ্য ইউনিট আগামী দেড় বছরের মধ্যে এবং রাসায়নিক ইউনিট আড়াই বছরের মধ্যে কার্যকর হবে, হায়দার জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বাজারে এই দুই ধরণের পণ্যের উদ্বৃত্ত উত্পাদন হয়েছে কারণ বেশ কয়েকটি নির্মাতারা ইতিমধ্যে ব্যবসায় রয়েছেন বলে তিনি জানান।

“তবে বেশিরভাগ উত্পাদনকারী ইউনিটগুলি চাটোগ্রামের বাইরে অবস্থিত, যা আমাদের জন্য আঞ্চলিক বাজার দখল করার ভাল সুযোগ তৈরি করে। ভৌগলিক অবস্থান এবং শক্তিশালী বিতরণ চ্যানেলের উপস্থিতি বিবেচনা করে এটি আমাদের পক্ষে সাশ্রয়ী হবে।”

বন্দর নগরীতে গ্রাহকরা ক্রমবর্ধমান ক্রয়ক্ষমতার সাথে তাল মিলিয়ে আঞ্চলিক বাজারটি আগামী দিনগুলিতে বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, উত্পাদন ইউনিটগুলি সরবরাহের সুবিধাদি, বিশেষত নগরীতে যে পরিবহন পরিষেবা রয়েছে সেগুলি দিয়ে উপকৃত হবে।

হায়দার বলেছিলেন যে তারা বিদেশী ব্যাংক থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে এবং কারখানাগুলিকে অর্থায়নের জন্য প্রাথমিক আলোচনা শেষ হয়েছে।

৪ টি সক্রিয় ব্যবসায়িক ইউনিট এবং ১২,০০০ এর অধিক কর্মচারী নিয়ে টি কে গ্রুপ বাংলাদেশের বৃহত্তম ও বৈচিত্র্যময় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির মধ্যে একটি।

গত সাড়ে চার দশকে এই গোষ্ঠী ভোজ্যতেল এবং চর্বি 100, ইস্পাত, বোর্ড, কাগজ, টেক্সটাইল, প্যাকেজিং এবং পাত্রে, চা বাগানের ব্যবস্থা, শিপ বিল্ডিং, গ্রাহক পণ্য, ট্রেডিং শেয়ার এবং সিকিওরিটিতে বিনিয়োগ করেছে।

বেজা খাদ্য প্রসেসরদের ভোক্তাদের জন্য মানসম্পন্ন পণ্য নিশ্চিত করতে উত্সাহিত করে, বলে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতে বিনিয়োগগুলি বেশ সুরক্ষিত এবং বেজার কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ।

চৌধুরী আরও বলেন, কেবল স্থানীয় সংস্থাগুলিই নয়, বিদেশিরাও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে বিনিয়োগ করছে।

তিনি বলেন, বেজা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি স্বাগত পরিবেশ তৈরি করেছে এবং তারা তাদের ব্যবসা সহজলভ্য করতে সহায়তা করতে প্রস্তুত, তিনি বলেছিলেন।