শুরু হচ্ছে পুষ্টি ‘ভার্সেস অব লাইট’ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা
টি কে গ্রুপের তত্ত্বাবধানে শুরু হচ্ছে পুষ্টি ‘ভার্সেস অব লাইট’ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। টি কে গ্রুপ আয়োজিত প্রতিযোগিতাটি দেশের উদীয়মান তরুণ/কিশোর হাফেজদের অসাধারণ প্রতিভা ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের দক্ষতাকে সম্মান জানাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মো. মোফাচ্ছেল হক বলেন, পবিত্র কোরআনের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সহায়ক হবে। এবার প্রতিযোগিতায় নারীরাও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই প্রতিযোগিতায় জাজ হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে বিশ্বখ্যাত আলেমদের। তাদের অমূল্য পরামর্শ প্রতিযোগিতাটিকে ভিন্ন মাত্রা দেবে।
টি কে গ্রুপের এইচ আর ডিরেক্টর আলমাস রাইসুল গণি বলেন, আমাদের এই আয়োজন এবার আগের চেয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে হবে। আশা করছি আমরা গ্র্যান্ড ফাইনাল পর্যন্ত সবার সহযোগিতা পাব।
টি কে গ্রুপের হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন মো. ইব্রাহীম খলিলের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অতিথিরা তরুণ/কিশোর হাফেজদের উৎসাহ দেওয়া ও পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। এতে প্রতিযোগিতার সাফল্য কামনা করেন টি কে গ্রুপের অ্যাডভাইজর মো. মাহফুজুর রহমান। এসময় টি কে গ্রুপের অন্যান্য সব ইউনিটের হেড অব বিজনেস, হেড অব সেলস-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
‘কণ্ঠে ছড়াক পবিত্র বাণী’ এই স্লোগানে দেশব্যাপী হিফজুল কোরআনের এই প্রতিযোগিতা শুরু হতে যাচ্ছে ডিসেম্বর মাস থেকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পবিত্র কোরআন চর্চায় নিবেদিত যে তরুণরা সুমধুর কণ্ঠে তেলাওয়াত করে থাকেন তাদের প্রতিভা অন্বেষণেই এমন আয়োজন।
আগামী পবিত্র রমজান মাসে প্রতিযোগিতাটি সম্প্রচারিত হবে জনপ্রিয় চ্যানেল ডিবিসিতে।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে থাকবেন খ্যাতনামা কয়েকজন ইসলামিক স্কলার। প্রধান বিচারক হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক কোরআন তিলাওয়াত সংস্থার (ইক্বরা), চেয়ারম্যান ক্বারী শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহার, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সৌদি আরবের জেদ্দার আল-কামাল মসজিদের সাবেক ইমাম হাফেজ মাওলানা আবদুল কাদের রহমানি এবং জর্ডান থেকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী স্কলার হাতেম জামিল মাহমুদ সুহেমাত ।
পুষ্টি ‘দি ভার্সেস অব লাইট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা সম্মিলিতভাবে পাচ্ছেন ৪০ লাখ টাকার সমমানের পুরস্কার। প্রথম বিজয়ী পাবেন নগদ ৫ লাখ টাকা-সহ আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ খরচসহ স্কলারশিপের সুযোগ। এছাড়াও রয়েছে একজন অভিভাবকসহ ওমরাহ হজ পালনের ব্যবস্থা।
দ্বিতীয় বিজয়ী পাবেন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ খরচসহ স্কলারশিপ। উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছাড়াও নগদ ৩ লাখ টাকা সঙ্গে ওমরাহ হজ করার সুযোগ পাবেন। তৃতীয় বিজয়ী পাবেন দুই লাখ টাকা। এছাড়াও চতুর্থ থেকে ৩০তম প্রতিযোগী নগদ অর্থ পুরস্কার হিসেবে অর্জন করতে পারবেন।
এই প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব ১৬ বা কম বয়সী তরুণ হাফেজরা অংশ নিতে পারবেন। দেশের সব অঞ্চল থেকে তারা নির্বাচিত হবেন এবং প্রতিটি অঞ্চলের শীর্ষ প্রতিযোগীরা ঢাকায় ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
পুষ্টি ‘ভার্সেস অব লাইট’ আগামী প্রজন্মের হাফেজদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি তাদের বিকাশ ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অনন্য উদ্যোগ। এটি তরুণ হাফেজদের অর্জনগুলো উদযাপনের পাশাপাশি দেশজুড়ে ঈমান, ইখলাস, ইলমের চেতনা সৃষ্টিতে পবিত্র রমজান মাসে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
Leave a Reply